স্বরসন্ধান-১
শোনো
হে অনিমেষ,তোমার স্বর
তোমার
কন্ঠ থেকে পৃথক হয়েছে বহুদিন
স্বরহীন
ফেকলুর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছ তুমি
এক
ফুল থেকে অন্যফুলের গন্ধ শুঁকে যাচ্ছ শুধু,
তাকিয়ে
থাকছ পড়ন্ত পাতার দিকে
যেন
বহুদিনের আলিবাবা তুমি
ভেঙে
ফেলেছ রহস্য সিন্দুক।
মাছের
চোখ তাক করা তো ছাই
শর
না স্বর, কোনটা আরাধ্য
হাঁদারাম
সেটাই জানো না।
জিয়নকাঠির
কথা ছাড়ো,
আগে
শক্ত করো পাজামার ডোর।
শোনো
এইসব ছ্যাঁচড়ামি দিয়ে অন্তত কবিতা হয় না।
আস্ত
একটা জীবন পায়রার মতো খুঁটে খুঁটে কাটিয়ে দিচ্ছ,
কেন
যে ভাবো হাঁটবে কলার তুলে
শোনো,বাথরুমই
স্বরহীন লোকদের আদর্শ ঠিকানা
স্বরসন্ধান-২
প্রতি
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে দেখি
পাল্টে
গেছে আমার স্বর,
স্বরনালীতে
ঢুকে পড়েছে এক হরবোলা,
নিজস্ব
স্বরে সে উচ্চারণ করে,
আমি তার অনুগামী হই
ভাইকে
ডাকতে গিয়ে শিরা ফুলিয়ে বলি,
শোনো ভাইসব...
স্ত্রীর
কাঁধে হাত রেখে বলি
শোনো হে কমরেড
হরবোলা
শুধু মিটিমিটি হাসে
কেননা
সে জানে
নিজস্ব
স্বর বলে কিছু নেই মানুষের
সব
স্বরই ধার করা,
হরবোলা
মিচকে হাসে
কেননা
সে জানে
ব্যর্থ
চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়
মানুষের স্বর-সন্ধানচিত্রঃ মৌমিতা দাস
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন