"গন্ধ শুঁকে মরতে হবে এ আবার কি আহ্লাদ?"
আত্মবিশ্বাসী না হলেও চলে। কিন্তু "হা রে রে রে" বলে এগিয়ে গেলে যে পাশে কাউকে নাও পাওয়া যেতে পারে, সেই রাজনৈতিক বুদ্ধিটি না থাকাটা খুব জরুরি।
মোটামুটিভাবে তালকানা হলে প্রতিবাদ করতে শিরদাঁড়া লাগে না, স্রেফ মর্জির মালিকানা দিয়েই মারের সাগর পাড়ি দেওয়া যায়।
আগে তো বুঝতে হবে দাম্পত্যের চড়া দামটা কত, তারপর তো তার জানকবুল আর মানকবুল যত্নআত্তি! যে সঙ্গীটি দাম্পত্যে ঘটা অনাচারকে 'অনাচার' বলেই চিনতে শিখল, তার লাভ কী আর লোকসানেরই বা কী!
মোটের উপর, সাতপাঁচ ভাবার দায়িত্ব নিতে গিয়ে গৃহহিংসার শিকার হয়ে বসবেন না, 'গন্ধবিচার' করার পরিস্থিতি এলে আগেই...
অনুনয়ের সঙ্গে বলুন, "আমার নাকে বেজায় হল সর্দি।"
বিনয়ের সঙ্গে বলুন, "নস্যি নিলাম এক্ষনি এইমাত্র, নস্যি দিয়ে বন্ধ যে নাক, গন্ধ কোথায় ঢুকবে?"
লজ্জার সঙ্গে বলুন, "পান খেয়েছি মশলা তাহে কর্পূর, গন্ধে তারই মুণ্ডু আমার এক্কেবারে ভরপুর।"
কাহিলকণ্ঠে বলুন, "আজ কচ্ছে আমার সমস্ত গা ঝিম্ ঝিম্। রাত্রে আমার বোখার হল, বলছি হুজুর ঠিক বাত।"
বিরক্তির সঙ্গে বলুন, "মারতে চাও তো ডাকাও না হয় জল্লাদ, গন্ধ শুঁকে মরতে হবে এ আবার কি আহ্লাদ ?"
দাম্পত্যে কোনোরকম বিদঘুটে, বিজাতীয় গন্ধ নাকতক পৌঁছালে, খামোকা তার কারণ বিচার করতে গিয়ে কালব্যয় করবেন না!
যেভাবে হোক বলুন!
"না"-টা অবশ্যই বলুন। গৃহহিংসা আমাদের কারো প্রাপ্য নয়। কোনো আলোচনাতেই নয়।
*ব্যবহৃত ছবি গুগল থেকে সংগৃহীত।
অভূতপূর্ব!
উত্তরমুছুনবেশ ভালো লেখা। দারুণ।
উত্তরমুছুন