অভিমন্যু মাহাতর কবিতা



অসুখ

বাতাসে শুনেছি অভিমানের বহর, উষ্মা প্রকাশ। তোমার খোঁপায় কি বেঁধে দেব?
অযোধ্যার ইকো ড্যামের রাতের জ্যোৎস্না? তাই দেবো, এবার তো তুমি তুষের আগুন নেভাও।
বর্ষার সনেট পড়ে আমিও ঘনীভূত হয়েছি। তুমি মন্দিরে যাবে শুনে আমিও আগুনের প্রথম পাঠ নিই।
মন তেমন নির্মোহ নয়। চামড়ায় অসুখ আছে বলে, উল্টোরকম ভাবি।

তিনশ কিমি দূরে থেকেও দেখতে পাচ্ছি পুরুল্যার আষাড়ি বর্ষার হাহাকার।
কাঁসাই নদীও উতলা হয়ে আছে।
নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ মনে করে ঝাউতলা মোড়ে দাঁড়ালাম। তুমি আসবে হেঁটে?


মাতৃভূমি লোকাল

চুম্বনের শীর্ষে ধোঁয়াশা রাখতে চাই না। কোনো মেঘ বা রোদন... কিছুই না।
যেভাবে আজ তুমি কান্না চেপে গুটিয়ে ফেললে ভ্রমণ, তার কী অর্থ?
কৃষ্ণনগরের স্মৃতিলালা আরও শয়তানি। গলিপথের চোখ, নিজের গরজে শ্রীহীন হয়ে ওঠে।
এই হালিশহর বহুকাল ধরে পাড় ভাঙা। আবার এখান থেকেই মাতৃভূমি লোকাল।
আমার আকাঙ্খার ধ্বনিও ওঠে। টের পেয়েছিলে?

উৎসর্গ পত্র

তুমি তো জন্মেছিলে শীতে। আর আমি ভরা শরতে।
শরতে বৃষ্টি নামেনি। তোমার আঙুল ধ্রুব
নিশ্চিত কুয়াশা, অপেক্ষায় থাকে রোদের। রোদ কেবল তন্দ্রা আনে। দুরূহ বার্তা আনে ।
আমি যদি ভাবি, তুমিই আমার তন্দ্রা? এই খর দুপুরে বনের তলে মোরগ নেই। তুমি এসেছ দীর্ঘ পথে।
প্রতিটি গাছ, বাদামি পাতা ছুটোছুটি করে আপন বাতাসে। অগণ্য নৌকো নীরব থাকে।
তুমি ক্ষমা করবে বলে, শ্বেত সূর্যের রাত্রি গোনে...

1 টি মন্তব্য:

যোগাযোগ ও লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ spartakasmagazine@gmail.com