কাঁচা মাটির ঘর
মায়ের
মুখ বড়ো করুণ এলোমেলো চোখের চাউনি
শরীরে
পরিশ্রমের ভার আর সহ্য হয় না
চামড়া
আরো শিথিল হয়ে এসেছে
হঠাৎ
আকাল নেমে এল কৃষ্ণ শর্বরীর মতো দুলে দুলে
হুহু
করে বাড়ে শস্য মড়ক, এ ঘোর অমাবস্যার দিনে
মা
কেমন উনুনের আঁধারে বন্দী হয়ে আছে
কোথায়
সে জল ও আগুন, কোথায় বীজমালা
যশোলোভের
ফানুস থেকে মুক্ত করবে মানুষের দৈন্যকে
মা
আবার তুমি আঁজলা পেতে দাঁড়াও সূর্য কলসটির নিচে
তোমার
প্রার্থনার গানে নেমে আসুক এক আকাশ শান্তি
আজ
নতুন করে গড়ে তুলব আমার কাঁচা মাটির ঘর
ব্রত
অশ্রুকুসুম
তুমি সঞ্চারিত হও পাষাণ ভূমে
বিদীর্ণ
করো তোমার পৌরুষ
যেটুকু
স্পন্দন এখনো আছে অন্তর্ভৌম
মহাবৃক্ষের
প্রাণ অন্বেষণের মতো স্থির
সমাহিত
ব্যথাটুকু নিয়ে চৈতন্যলীন
আঁখিপল্লব
মথিত না হলে দৃষ্টির ঝাপসা যে কাটে না
এত
আলো এত তুবড়ি আহা কী উৎসবের রাত
রোশনাইয়ে
নুয়ে আসে শির
অথচ
যোগ্য বিচরণভূমির জন্য কেঁদে মরে মন
অশ্রুকুসুম
তুমি ফুটে ওঠো গোপন ধবল স্নানে
চতুর
প্রকাশ ভেঙে আলিঙ্গনের ব্রতে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন