নাম: কার্লোস হেনরিক রাপোসো
দেশ: ব্রাজিল
পেশা: ফুটবলার
পজিশন: স্ট্রাইকার
উচ্চতা : ৬ ফুট
কেরিয়ার: ১৯৭৯ থেকে ১৯৯২
১১টি ক্লাবে নথিভুক্ত হয়েছেন
ম্যাচ খেলেছেন: ০
গোল সংখ্যা: ০
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, একটিও গোল করেননি, একটিও ম্যাচ খেলেননি এই পেশাদার ফুটবলার।
বিভিন্ন মরসুমে সই করেছেন ১১টি ক্লাবে, অনুশীলনে এসেছেন, কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক
একটি ম্যাচেও বলে পা ছোঁয়াইননি, এমনকি মাঠেই নামেননি তিনি। ব্রাজিলের বিখ্যাত
ক্লাব ফ্ল্যামিঙ্গোও আছে তাঁর যোগ দেওয়া দলগুলির তালিকায়।
বেকেনবাওয়ারের
সঙ্গে চেহারার মিলের কারণে 'কাইজার' ডাকা হত তাঁকে, কার্লোস কাইজার নামেই পরিচিতি। ১৯৭২ -এ
ব্রাজিলে বুটাফাগো ক্লাবের যুবদলে খেলা শুরু । ১৯৭৩-৭৭ ফ্ল্যামিঙ্গোর যুবদলে। ১৯৭৯-এ
মেক্সিকোর পুয়েবলা ক্লাবের সিনিয়র দলে। একটিও ম্যাচ না খেলে দেশে ফেরেন। ১৯৮১তে
বুটাফাগো, ৮৩’তে ফ্ল্যামিঙ্গো,তারপর নানা সময়ে নানা দলে। কিন্তু একটি
ম্যাচেও নামলেন না মাঠে। চেহারা ছিল পেশাদার ফুটবলাদের মতো, ক্লাবে যোগ দেওয়ার পরে বলতেন 'ম্যাচ ফিট নই', এক সপ্তাহ ফিজিক্যাল ট্রেনিং, তারপর বল নিয়ে খেলার সময় এলেই চোট-আঘাতের
গল্প শুনিয়ে এড়িয়ে যেতেন। আসলে ফুটবলের স্কিল ছিল না কিছুই। কার্লোস অ্যালবার্তো তোরেস, রিকার্ডো রোচা, রেনাটো গাউচোর মতো ফুটবলাররা ছিলেন তাঁর
বন্ধু। বন্ধু ছিলেন সাংবাদিকরা,
তাঁর নামে ভুয়ো
খবর বেরোত খবরের কাগজে। এমনও ছাপা হল, পুয়েবলায়
তাঁর পারফরম্যান্স দেখে মেক্সিকোর নাগরিকত্ব নিয়ে সে দেশের হয়ে খেলার অনুরোধ
করা হয়েছে তাঁকে। লোকজনকে দেখিয়ে দেখিয়ে একটা খেলনা মোবাইল ফোন (তখন আসল মোবাইল
ফোনের দাম আকাশ ছোঁয়া) নিয়ে বিভিন্ন বিদেশি ক্লাবের সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। ১৯৮৬তে
আসেন ইউরোপে। ফ্রান্সে দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব গাজেলেক আজাচ্চিও ক্লাবে যোগ দেন। অনুশীলনে ক্লাব ব্যাজে চুমু খেতে
খেতে সব বল সমর্থকদের মধ্যে উড়িয়ে দেন। কোনো ম্যাচ না খেলেই দেশে ফেরেন।
সংবাদপত্রে ছাপা হয় ফ্রান্সের ক্লাবে তিনি নাকি সর্বোচ্চ গোলদাতা। তারপরও নানা
ক্লাব, আবার চোটের প্রহসন। মানুষ হিসেবে নাকি খারাপ ছিলেন
না, মদ্যপান করতেন না, সতীর্থকে সাহায্য করেছেন মদ ছাড়তে ।ফুটবলটা
খেলতে পারতেন না একদমই,
তবু ফুটবলার হওয়ার
সাধ। আর বড়ো বড়ো ফুটবলারদের সঙ্গে বন্ধুত্ব।
২০১৮য় রব স্মিথের লেখা
'Kaiser: The Greatest Footballer Never to Have Played Football' বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
এই নামে একটি ফিল্মও মুক্তি পেয়েছে, তাতে অংশ নিয়েছেন জিকো, বেবেতো, তোরেস, রোচার মতো
ব্যক্তিত্বরা । এবং এই ‘জালি’ ফুটবলার স্বয়ং।
*ছবি গুগল থেকে সংগৃহীত।
হা হা হা...! সত্যি খুব মজা লাগলো। বেশ আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব। লেখককে ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন