লড়াই
নিজেকে নিজেই টপকে যাও
এখন এটাই একমাত্র খেলা
সত্যিগুলো মিথ্যে হয়ে গেছে
মিথ্যেগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সত্যের পোষাকে!
হাত ছেড়ে দিলে চলবে না দোস্ত
খেলা ছেড়ে পালালে চলবে না
যতক্ষণ শ্বাস আছে
লড়াই--- আরও তীব্র লড়াই
এর বাইরে অন্য কোনো পথ নেই আর
খেলা ঘুরবে---
খেলা ঘুরবেই একদিন
ভেতরে ভেতরে তাড়া খেতে শুরু করেছে মানুষ
ধরে ফেলেছে লালকে নীল করে দেখানোর খেলা
বুঝে ফেলেছে রহস্যের ভেতরে লুকনো রহস্য
চাপে পড়ে সত্যিগুলো
মিথ্যে হয়ে গেছে
মিথ্যেগুলোই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সত্যের পোষাকে...
বিশ্বাস
পায়ের নিচে মাটি নেই তোমার
তবু এমন হাবভাব করছো---
যেন পৃথিবীটা তুমিই ঘুরাচ্ছো
সহ্যের সীমা আছে
তুমি তা অতিক্রম করে চলেছো প্রতিদিন
চুলে কলপ লাগিয়ে মস্তানি মারছো
তুমি জানো না---
হাওয়ার পাল্টা হাওয়া উঠবেই
যা কিছু পলকা ভেসে যাবে গভীর অন্ধকারে
আলো জ্বলে উঠবে আবার...
ক্ষমতা
তোমার দুহাতে শহরের ছাপ
তুমি কী করে হৃদয় ছোঁবে ফাগুনের
হাজার চেষ্টা করেও তুমি আর মুখ লুকোতে পারবে না
এখন তাই করে যেতে হবে তোমাকে
যা তোমাকেই মানায়
তুমি রবীন্দ্র সঙ্গীতটা দারুণ গাও
সুদের ব্যবসা বোঝো ঝকঝকে
কলেজ ফাঁকি দিয়ে বেড়াল তাড়িয়ে দাও
শ্রীলেখা গোস্বামীর বিছানা থেকে
এতসব সত্যির পরেও---
তুমি এখনও ধবধবে সাদা
কেউ তোমার কিছু ছিঁড়তে পারছে না
কারণ---
তুমি রুলিং পার্টির কালচারাল ফ্রন্টের সম্পাদক!ছবিঃ অঞ্জন চক্রবর্তী
সাহসী লেখা। ঈঙ্গিতবাহী। কবি যে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন সে তো অবশ্যম্ভাবী। মিথ্যার উপর যে প্রাসাদ গড়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে তা তো একপ্রকার তাসের ঘর। তাই কবির বিশ্বাস এই "পলকা ভেসে যাবে গভীর অন্ধকারে আলো জ্বলে উঠবে আবার"। শাসক বদলায়, তার ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী। প্রবল ক্ষমতাশালী জনতা যখন শ্রোতা থাকে তখন সে শুধুই চোখ বন্ধ করে শুধুই শোনে, কিন্তু এই শ্রোতাই যখন দর্শক হয়ে উঠে চোখ মেলবে তখন ধবধবে সাদার আসল কুৎসিত, ভয়ঙ্কর চেহারাটা দেখতে পাবে। তখন রুলিং পার্টির কালচারাল ফ্রণ্টের সম্পাদকের কিছু ছেঁড়া নয় কাটাও যেতে পারে। কবির ক্ষুরধার লেখনী আমাদের ভাবতে বাধ্য করে। শানিত ছুরির মতো তাঁর ভাষা। কোনো ভণিতা নেই। নেই কোন চাতুরি। সাবলীল ভাষার এই কবিতাগুচ্ছের জন্য কোনো প্রশংসায় যথেষ্ট নয়। অনবদ্য।
উত্তরমুছুনদারুণ কবিতা
উত্তরমুছুনসাহসী কলম|
উত্তরমুছুন