গল্পঃ মনোহর হোসেন মণ্ডল








যেখানে সন্ধে নেমেছিল



একটা কাঠের তৈরি বেঞ্চ, পুকুরের পাড় আর তার ধারে ধারে ফুটে থাকা বেনামি বনফুলের দল আর এই সব কিছুকে ছাতার মতো করে আগলে রাখা একটা মস্ত ছাতিম গাছ, ভালোলাগার মতো কিছু বলতে এই কয়টি, বছর সতেরোর ছেলেটার সমস্ত পৃথিবী জুড়ে কেবল এদেরই উপনিবেশ। বাড়িতে দাদু, দিদা আর মা। দাদু, দিদা বড় সেকেলে, এই করতে নেয়, ওই করতে নেয়, খাওয়া, পড়া শোওয়া সবেতেই শতাধিক শর্ত ওর কাছে হিটলারি শাসন, দমবন্ধ হওয়ার মত। মা সারাদিন বুটিকে ব্যস্ত, সকাল টা থেকে রাত টা কখনোবা আরও বেশি। কথা বলার যা সময় পাওয়া যায়, তাতে বড়জোর কিছু অর্থনৈতিক আর কাজের হিসাব দেওয়া ছাড়া, মানসিক চিন্তার আদান প্রদান একপ্রকার অসম্ভব। আর অঙ্কনমাথা ভরা শুকনো কুটির মতো চুল, মুখময়  সুতর মতো গুটি কয়েক রুগ্ন অবিন্যস্ত দাড়ি, শরীর জুড়ে কৈশোর শেষের রেষ, শুধু অদ্ভুত ভাবে গভীর অতল একজোড়া চোখ, সব কিছুই যেন নিঃশব্দে বলছে তারা অভিমানী। বয়ঃসন্ধির যন্ত্রণা না কি যৌবনের দরজায় অকাল জরাবয়সনুচিত স্থিরতা, স্থবিরতা যেন ওকে এই জগত থেকে অনেক দূরে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে সবার অলক্ষ্যে, অঙ্কন এখন নিজের তৈরি এক অলৌকিক জগতের বাসিন্দা। ওর একাকীত্বই বোধ হয় ওকে ভয়ঙ্কর ভাবে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছে। কথা বলার কোন আগ্রহ ওর  নেয়, কিছু বললে শোনে কিনা তাও বোঝা যায় না। দাদু দিদার আদর বা বন্ধুদের ফাজলামি, ইয়ার্কি, এসবের ত্রিসীমানায় ওর মন থাকেনা কখনও।

আজও কলেজের পর এই সারদা ঝিল আর এই ছাতিম গাছ তলার বেঞ্চ ওকে আটকে রেখেছে তিনটে থেকে। এখন কটা বাজে ওর মনে নেয়। দূরে রসিক পুরের আজানের শব্দে হঠাৎ ওর মনে পরে গেলো, আরে .৩০ টা বাজে, ‘ইশকেমিস্ট্রি টিউশন আছে যেতেই হবে। নাহ, আজও আর বাড়ি ফেরা হল না! কেমিস্ট্রি স্যার এর এই  ব্যাচটা মিস করতে ওর একেবারেই ইচ্ছে হয় না।

কাওকে পছন্দ না হওয়া ছেলেটার কেন জানি এই স্যার- এর কথা গুলো বেশ মনে ধরে।পর্যায় সারণীর অণু পরমাণু, তাদের মধ্যেকার নিঃস্বার্থ আকর্ষণ বিকর্ষণ বড় পছন্দ অঙ্কনের।জীবন আর তার সাথে জড়িয়ে থাকা অর্ধসত্য সমাজ, বড্ড জটিল, গুণ-দোষ, ঠিক-ভুল সব কিছুই ব্যক্তি সময় বিশেষে বহুরূপী। পরমাণুর জগতে তা তো নয়, বরং তড়িৎ ঋণাত্মকতা মানে একটি পরমাণুকে নিঃস্ব করে তার সব লুঠ করাও সেখানে গুণ, অদ্ভুত কিন্তু কতো রহস্যময়! নাহ এবার ওকে উঠতেই হবে; সন্ধের কালো চাদরে ঢেকে যাচ্ছে ঝিলের জল, একটা বড় মাছ ল্যাজ নাড়িয়ে ঢেউ তুলে দিয়ে ওকে আবার ফিরে আসার আমন্ত্রণ জানাল। গভীর সেই কালো জলে ডুবে যাচ্ছে সূর্যের নিস্তেজ আলো। পাশে রাখা ব্যাগটা পিঠে নিয়ে অঙ্কন সেদিনের মত জানালো বন্ধু বিদায়

##

রাত ওর বড় পছন্দের, নিস্তব্ধ পরিবেশ, ঝিমতে থাকা বর্ধমান আর মাঝে মাঝে দূর থেকে ভেসে আসা বিনিদ্র ইন্ডিয়ান রেল এর শব্দ ওকে ওর জগতে নিয়ে যায়।

স্যার ওকে একবার বলেছিলেন পৃথিবীতে দুই ধরনের ভাবনার সহবস্থান, এক অতিকায় যার ব্যাপ্তি সৌরমণ্ডলে আর এক অতিক্ষুদ্র যার শেষ পরমাণুর ক্ষুদ্রতম গঠনে। বৃহত্তর সেই জগতে প্রবেশের একমাত্র পথ শরীরের কোন এক ক্ষুদ্রতম অংশে লুকিয়ে থাকা মন।

অঙ্কন এর এই সব ভাবনা ওর বয়েসের কারোর কাছেই যুক্তিসম্মত বা গ্রহণযোগ্য কোনটায় নয়; স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধু বা বান্ধবী, যা ওর বয়সী অনেকের কাছেই সংখ্যায় অনেক, ওর কাছে এক অসম্ভব বিষয়।

নিজের ডায়েরি আর তাতে লেখা কয়েকটা নিজস্ব কবিতা ওর সাথি।পাতা উল্টে যে দিন যেটা চোখে ধরে আরকি। সেদিন পাতা ওলটাতে ওলটাতে ওর চোখে পরে গেল বেশ কয়েক মাস আগে লেখা একটা কবিতা, সারদা ঝিলের ধারে বেঞ্চে বসে সন্ধ্যে নেমেছিল, লিখেছিল-

যেখানে সন্ধে নেমেছিল
নীলাভ স্থবির জলরাশি লাল থেকে কৃষ্ণাভ হলে,
ছোট্ট ছোট্ট ঢেউয়ে খেলে বেড়ানো মাছ বিদায় জানায়,
কোথা হতে আসা আকাশ ভরা পাখির দল বলে বাড়ি ফেরো;
আশ্রমের শাঁখ আর দুরের আজান,
আহা কি সুন্দর সহাবস্থান,
যেখানে সন্ধে নেমেছিল।

অঙ্কনের মনে হয় যদি ইচ্ছামৃত্যু সত্যি হতো তবে সে কোন এক গোধূলি তে নিজেকে প্রকৃতির কোলে তুলে ধরত, শেষ সমর্পণের যে আনন্দ, হয়তো এই ছাতিমের নিচেয় জীবনের জটিল অঙ্কের হাত থেকে ওর চিরন্তন মুক্তি হতে পারত। বসবার ঘড়ের ঘড়িটা হঠাৎ পরীক্ষার হল পরিদর্শকের মতো ক্রুদ্ধ তীক্ষ্ণ গলায় সাবধান বানী শোনালো, রাত দু’টো বাজে।

নাহ! আজ আর এসব ভাবলে চলবে না, কাল নয়তো কলেজে আবার বকা খেতে হবে, রোজ রোজ ক্লাসে ঘুমিয়ে পরাটা যেন ওর স্বভাব হয়ে যাচ্ছে।

###

বেশ তো ছিল আশ্রম, কলেজ, স্যার, মা, সারদা ঝিল আর প্রিয় সন্ধ্যা, কবে যে কলেজ শেষ হয়ে গেল চোখের নিমেষে, বুঝতেই পারেনা। ফাইনাল রেসালট হাতে ঝিলের ধারে বসে আছে অনেকক্ষণ। চোখের সামনে ভেসে আসছে শুধুই কলেজের প্রথম দিনের সব ঘটনা।

আজ সন্ধেটা কেমন তাড়াতাড়িই কেটে গেল, যে ঘাসদের কোলে রোজ একটু শান্তি পায়, তারা যেন মাথা নিচু করে নিজেদের মধ্যে গভীর কোন শোক ভাগাভাগি করছে; পাখিরাও কখন চলে গেছে মুখ লুকিয়ে,ঝিলের জল কেমন উদাসী আর বিকট কালো হয়ে উঠেছে, ঢেউহীন জলে আজ মাছেরাও খেলা করছেনা। ছাতিম গাছটাও অভিমানী কোন এক বাচ্ছার মতো মুখভার করে দাড়িয়ে, একটা পাতাও আজ কোন শব্দ করছেনা! অঙ্কনের সাফল্যে কেও খুশি নয়? সে নিজেই বা কতোটা খুশি ?

আসলে  আজ মেঘ করেছে, দূরে আকাশের বুক চিরে নিষ্ঠুর বিদ্যুৎ এর ঝলকানি, আর গুরু গম্ভীর শব্দে ক্রমাগত আস্ফালন, বৃষ্টি আসবে শীগগির। বিচ্ছেদের অশ্রু ঝরে পরবে সন্ধ্যার গাল বেয়ে। তারপর সারদা ঝিল, ছাতিম গাছ আর এই নিঃসঙ্গ কাঠের বেঞ্চ অসহায় হয়ে ভিজবে অন্ধকারে, সারারাত। হইত অন্ধকার চাদরের আড়ালে, ওরাও জেগে থাকবে আজ।

কাল ভোর টায় ট্রেন, বর্ধমান থেকে হাওড়া ওখান থেকে আইআইটি-কানপুর, যেতেই হবে, ওর ইচ্ছে বা অনিচ্ছার ঊর্ধ্বে। যে মানুষ করেছে, বড় করেছে তার ইচ্ছে তাই দূরে যেতেই হবে। কারণ টাও বেশ মহৎ, ওখানে পড়লে নাকি বিদেশ দেখা যায়, ছাদে উঠে হাত বাড়ালে আকাশ ছোঁয়া যায়। ওর ভাল লাগে কিনা, সেসব প্রশ্ন কেও করেনি, বলেওনি তাই। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে আকাশের দিকে চাইল অঙ্কন, সন্ধ্যার কালো চাদরের কোন এক অদৃশ্য ফুটো বেয়ে চোখের নিচে একফোঁটা জল পরল। ঘাসের গায়ে হাত বুলিয়ে ব্যাগ কাঁধে উঠে দাঁড়ালো সে।আজ শেষবারের মতো ছাতিম গাছ টা ছুঁয়ে বলল, আজ সন্ধ্যে হল না, কখন রাত হয়ে গেছে, যদি সকাল হয় আবার কোন এক সন্ধেয় ফিরে আসবই।কয়েক মুহূর্ত জলের দিকে চেয়ে রইলো, আজ আর কেউ আমন্ত্রণ জানাতে এলো না; অদ্ভুত স্থির নিস্তরঙ্গ জল, কোন ঢেউ নেয়।

####

এই সাত বছরে অঙ্কন হাতে গুনে বাড়ি গেছে, আই আইটিতে থাকতে বোধহয় দুবছরে বার চারেক আর জাপানে আসার পর এই শেষের চার বছরে সম্ভবত  দুবার। না, এই সাত বছরে প্রিয় সন্ধ্যার সাথে দেখা হয়নি। ডঃ অঙ্কন রায়, ল্যাবে যখন ভয়ঙ্কর ব্যস্ত, প্রতিদিন হইত সেই সময় কোন এক ছোট্ট শহরে, কালো চাদর গায়ে জড়িয়ে, ছাতিম গাছের তলাই এক ষোড়শী তার ফেরার অপেক্ষায় শুকনো মুখে দাঁড়িয়ে থাকে। হইত সেই সন্ধ্যা। কারোর ফিরে আশার প্রতিশ্রুতি আগলে নিঃসঙ্গ বসে থাকে কাঠের বেঞ্চে। ঋতুমতী সন্ধ্যা নিজেকে সাজায় বিরহের তপ্ত গ্রীষ্মে পদ্মিনীর স্নিগ্ধ গন্ধে , কখনও আবার বসন্তের ছোঁওয়াই ফুলের রাশি জড়িয়ে রাখে শরীর জুড়ে। অঙ্কনের মনেও নেয় ওকে। ওর যে কিছুই মনে নেয়। সেই কেমিস্ট্রি স্যার কোথায় আছেন জানেনা, মা বোধ হয় ভালোয় আছে, ফোনে তো রোজ তাই বলে, দাদু মারা গেছে সেই আই আইটিতে থাকতেই। দিদা গতবছর ডিসেম্বর মাসে। ওর ডায়েরি গুলো, ওর কবিতা! সব বাড়িতে, কে জানে মা রেখেছে এখনো না ফেলে দিয়েছে!

ওর মন এখন শরীরের জটিল বৈজ্ঞানিক গঠনের কোন নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে যেন হারিয়ে গেছে। তাছাড়া স্মৃতি মানুষ কে দুর্বল বানায়,কাজেই শিক্ষিত মানুষদের এসব ভাবতেও নেয়। রোজ সাতটা বাজলে পর্নার ফোন ওকে মনে করিয়ে দেয়, এখন বিরতি। -তলা থেকে নেমে একসাথে টিফিন খাওয়া, তারপর ঘণ্টা খানেক সময় নষ্ট, আবার ব্যাক টু ল্যাব। অঙ্কনের সব কিছু কতো সরল এখন। পর্নার সাথে ওর পরিচয় জাপানে এসে। পর্নাও বর্ধমানের কলেজেই পড়াশুনো করেছে ।যদিও, অঙ্কনের জুনিয়র ব্যাচ আর কলেজ টাও ছিল অন্য। এই বিদেশে ওর ভাল বন্ধু কখন একমাত্র সাথী হয়ে গেছে অজান্তেই। অঙ্কনের মারও পর্নাকে বেশ পছন্দ। হাসিখুশি মিষ্টি স্বভাবের পর্না পছন্দ হবার মতোই। দুজনের জীবনের স্বপ্ন কখন এক রাস্তার পথিক হয়ে গেছে। দুজনের এক সাথে জীবন শুরুর একটা অগোছালো পরিকল্পনাও তায় বাস্তবের মাটির অপেক্ষায়।

#####

প্রফেসর অঙ্কন রায়, বর্ধমানের বাড়িতে মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান শেষ করেছে দুদিন মাত্র। আত্মীয় পরিজন বিদায় জানিয়ে কাল নিজেও ফিরবে দিল্লী, মিড সেম চলছে, সময় নেয় হাতে একদম। ছেলে বায়না ধরেছে পাড়ায় আশ্রমের ধারে একটি শিশুদ্যান আছে, ওখানে নিয়ে যেতেই হবে।
অঙ্কিত আর পর্নাকে নিয়ে বিকেলটা আজ খুব একটা খারাপ কাটল না অঙ্কনের।

পর্না বলল বাবা, পাঁচটা পনেরো! এই এবার চল না গো আমার ফেভারিট শো মিস হয়ে যাচ্ছে। অঙ্কিত বাবু এবার চলো, দিল্লী গিয়ে তোমায় নিক্কো পার্ক নিয়ে যাবো, এবার চলো’।

মোবাইলটা পকেটে ভরে ঘাস থেকে উঠে দাঁড়ালো অঙ্কন, অতি পরিচিত কেও যেন ওকে ডাকল কি?
কেমন একটা হয়ে যাচ্ছে ওর। এক লহমায় সব কেমন দুলে উঠলো নাকি ?

মাথাটা ঝিম ঝিম করে উঠলো, কেমন মনে হচ্ছে যেন কোন জলছবির চিত্রপটে সব রঙ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে, স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো কেবল। আশ্রমের ঘণ্টার শব্দ বাজছে, সন্ধ্যা আরতির সময় হয়ে গেছে যে। দূরে রসিক পুরের মসজিদের মাইক হেঁকে উঠেছে আল্লাহু-আকবরবলে।সন্ধ্যা আসছে? এই পরিচিত ডাক অঙ্কনের কান বেয়ে গোটা শরীর জুড়ে কি একটা ঠাণ্ডা কেমিক্যাল ছড়িয়ে দিয়েছে। আবেশ বিভোর অঙ্কন কে যেন জিজ্ঞেস করছে ভাল আছো ?’

নিমিষে একা হয়ে গেছে অঙ্কন, ওর বুকের ভেতরের একটা বিশাল পাথর কে কেও যেন ঠেলে নামাচ্ছে মেরুদণ্ড বেয়ে, আর চাপা পরে থাকা বিষ রক্ত যেন শিরায় শিরায় ছড়িয়ে যাচ্ছে সমস্ত শরীরে।
আচমকা অঙ্কিত হাত ধরে বলল, ‘ বাবা দেখো গাছটায় কতো পাখি, অগুলোর কি নাম?’
নিস্তব্ধ, নিরুত্তর অঙ্কন শুধু চেয়ে দেখল বিরাট ছাতিম গাছ, তার ডালে ডালে পাখির ঝাঁক।
পর্না বলল, ‘সত্যি গো, বর্ধমান এখনো সেই আগের মতো, অঙ্কিত আমার ফোনটা দাওতো বাবু, এই মাছের মিছিলটার একটা ভিডিও বানাই’।

অঙ্কনের চোখ চলে গেল কালো হয়ে আসা ঝিলের জলে, ঢেউ তুলে খেলা করা মাছগুলোর দিকে।
অঙ্কনের বোধ হয় কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে গেছে, গলার ভেতর কিছু একটা আটকে গেছে, নিঃশ্বাস নেওয়াও কেমন কষ্টকর। অঙ্কন আকাশের দিকে চাইলো, দুচোখ বেয়ে দু-ফোঁটা জল, ওর চোখের দীর্ঘ তেরো বছরের খরা কাটিয়ে দিয়েছে কখন।
আজ সন্ধ্যা এলো...

রাত্রে শোবার ঘরে, পর্না বেশ জোর করেই ওর ছেলেবেলার পড়ার টেবিল, বই, খাতা সব ঘেঁটে দেখতে দেখতে জিজ্ঞেস করলো- শোন, বলছি, এই সব ডায়েরি তোমার ?’
আমার নয়তো আর কার হবে?’
মা, এতো কলেজের সময়ের দেখছি, প্রবল আগ্রহে পাতা ওলাটাতে ওলটাতে পর্না আবৃত্তি সুরে পড়তে শুরু করলো-

যেখানে সন্ধে নেমেছিল,
বালিহাঁস দল বেধে,
কালো জলে ভূপালি সাধে
গাছগুলি ফিসফিসে,
কথা কয় নিজেদের মাঝে
ঝিঁ ঝিঁ পোকা ডাক দেয়,
সাথী ঘরে আসে,
নিয়নের আলোকিত সুন্দরী সাজে, বর্ধমান হেসেছিল,
যেখানে সন্ধে নেমেছিল।

ছবিঃ অর্ণব নন্দী

৭টি মন্তব্য:

  1. লেখাটা পড়ে কিছুটা অতৃপ্ত হলাম। এটা আমার মধ্যে অনেকটা আশা জাগিয়েছিল। নতুন কোনও মাত্রা চাইছিলাম। গল্পটায় একটা বাঁক চাইছিলাম।

    উত্তরমুছুন
  2. শেষের কবিতাটা মন ছুঁয়ে গেল❤️

    উত্তরমুছুন
  3. শেষের কবিতাটা মন ছুঁয়ে গেল❤️

    উত্তরমুছুন

যোগাযোগ ও লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ spartakasmagazine@gmail.com