প্রসূন মজুমদারের কবিতা


পলাতক

কোথাও যাওয়ার নেই তাই যে তোমার ছায়ায় রয়েছে
অন্য কোন ছায়া পেলে মুহূর্তেই মিলাবে ছায়ায়।
বাস্তবতা সে যেমন অনুপুঙ্খ জানে, তুমিও তেমনই।
আমি শুধু ছায়ার ওপারে কবন্ধ - কৌতুক খুঁড়ে, সরে সরে যাই।

ছায়াবাজি দেখি, হাসি , ধীরে ধীরে ভারকেন্দ্রহীন মৃত নক্ষত্রে হারাই।



অভিপ্রায়

ভেবেছি পাগল হয়ে যাব। বাস্তবতা সহ্যাতীত।
উন্মাদনা আমাকে চালায় অহরহ।
তবুও পাগল নই এই ভেবে ক্লান্ত মনে হয়।
এ পৃথিবী মানুষের যতটা অনেক অনেক বেশি
ছাগল ও গাধার, কুকুর ও বাঘের।
বাস্তবতা রূঢ় তবে অমান্যতা নিয়ত ভাবায়।
যুক্তি আর শৃঙ্খলতা পাথরের মতো চেপে বসে।
পাথর ও পাখির মধ্যে পাখিপক্ষ নিতে মন চায়।
প্রতিটি লাফের মাপ উড়ন্ত ঈগল। অনুভবে ধরে ফেলে তারা।
প্রেমের পাহারা থেকে পুঁজরক্ত পুঁজি ও অভাব সব খতিয়ে দেখার খুনি ক্ষত।
সরল বা জটিল এই দৃষ্টিকোণ সহ্যাতীত।
ফলে খাদ্যগুণ থেকে বেশি বিষ মিশে রয়েছে মধুর
মধু ও মদের জলে জিভ রেখে বিস্বাদ বাজাই।
নিরর্থ কখনো দিব্য পরমার্থে লাজুক বিস্ময়।
অযুত অযুক্তি লক্ষ্য। গল্পবিশ্বের যত উদ্ভট অভ্যাস
পা দিয়ে ঠেলার দার্ঢ্যে দুটো একটা নিপাট খচ্চর
খুঁজে পেয়ে গেলে আজও মনে হয় আহা! ধন্য পথ! ধান্যে ধনে পুরু।
হিসেব ও অঙ্কের ঘন ঘোঁট ও ঘোটালা থেকে উন্মাদ বিযুক্তি - বিশ্বে একা হয়ে ভেসে থাকা অতঃপর শুরু।

1 টি মন্তব্য:

যোগাযোগ ও লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ spartakasmagazine@gmail.com